একজন হাছান মিয়া বনাম ঐ ইউনিয়নের ভোটার হিসেবে আমার কিছু কথা : ইয়ামিন হোসেন
ইয়ামিন হোসেন।
আপডেট সময়: ৬ মে ২০২০ ৪:২১ এএম:

ইয়ামিন হোসেন:
দ্বীপ জেলার সদর উপজেলার উত্তরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন ২নং ইলিশা ইউনিয়ন প্রায় ৩৫ হাজার ভোটার এই ইউনিয়নে।
লোক সংখ্যা ৭০হাজার এর কাছাকাছি আর ৩১ই মার্চ ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান বৃহত্তম ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি যিনি ভোলার সরকারী স্কুল মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে ইলিশা বাসীর পক্ষে মানপত্র দিয়েছেন মরহুম আবদুর রব মিয়া।
আর তারই সুযোগ্য পূত্র জননেতা তোফায়েল আহমেদ এমপি'র স্নেহধন্য হাছনাইন আহমেদ হাছান মিয়া।
মার্চের নির্বাচনের পর ২০১৬ সালের ১১ই জুলাই দায়িত্ব বুঝে নিয়ে ইলিশা ইউনিয়ন কে একটি আর্দশ মডেল ইউনিয়ন করার ঘোষনা দিয়েছেন তিনি।
পেয়েছেন মহাত্মা গান্ধী পদক, সেই পদক পাওয়ায় যাকে বিশাল আয়োজন করে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতে সংবর্ধনা দিয়েছে ইলিশার নাগরিক কমিটি।
কিন্তু নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই বাবা আবদুর রব মিয়া মৃত্যুবরণ করেন এর পরই হাছান মিয়ার মা অসুস্থ্য হয়ে পড়েন এক পর্যায়ে মা মারা যান।
মায়ের শোক না যেতেই একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয় তার, জন্মের পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকবার ভারত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
এই বিপদে কিছুদিন ইলিশার বাহিরে থাকেন চেয়ারম্যান হাছান মিয়া আর এর মধ্যে কিছু অসাধু চক্র চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন এক পর্যায়ে চক্রটি ব্যর্থ হয়।
চেয়ারম্যান হাছান মিয়ার সততার কাছে তারা হার মানেন।
এর পর আবার একটি মহল জেগে উঠে ষড়যন্ত্র নিয়ে আর ভালো মানুষের পিছনে শক্র থাকবে নতুন কিছু নয়।
আবদুর রব মিয়া ছিলেন ইলিশার আপামর মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মানুষ আর তার উত্তরসূরি হাছান মিয়া ও হোসেন মিয়া বাবার আর্দশ বুকে ধারন করেই জননেতা তোফায়েল আহমেদ এমপির স্নেহ নিয়ে ইলিশার মানুষের সেবা করতে এসেছেন কোন ষড়যন্ত্র তাদের রুখতে পারবে না ইনশাল্লাহ।
প্রিয় ইলিশাবাসী ইলিশার ভোটার হিসেবে আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন? হাছান মিয়া চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব নেওয়ার পর ইলিশার কোন বিএনপির নেতাকর্মীদের ক্ষতি করেছে হুমকি দিয়েছে এমন কোন প্রমান আছে? কিন্তু অতীতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর জনপ্রতিনিধি অত্যাচার করেছে তার প্রমান আছে, হাছান মিয়া দায়িত্ব নেওয়ার পর কি তার পরিবার অথাৎ মিয়া বাড়ীর কোন লোক ইলিশা ইউনিয়নের ১-৯ ওয়ার্ডে কোন প্রভাব বিস্তার করেছে কিংবা চেয়ারম্যানের ক্ষমতা দেখিয়েছে এমন কোন প্রমাণ আছে? হাছান মিয়া ইলিশার কোন চর দখল করেছে, বাড়ীঘর লুটপাট করেছে তার বাহিনী দিয়ে এমন কোন নজির আছে? কিন্তু অতীতের জনপ্রতিনিধি কি করছে আপনাদের জানা আছে, কে দখল করেছে বানিয়ার চর? কার নেতৃত্বে হামলা ভাংচুর হয়েছে তালুকদার চরে আপনাদের জানা আছে।
ইলিশার কোন শালিশের নামে অর্থ বাণিজ্য করে একের জমি আরেকজন কে দিয়েছে এমন কোন প্রমাণ আছে? বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, ভিজিএফ ভিজিডি ভাতা দেওয়ার নামে অর্থ বাণিজ্য করেছে কেউ প্রমাণ দিতে পারবেন? সরকারী ঘর দেওয়ার নামে হাছান মিয়া অর্থ বাণিজ্য করেছে এমন কেউ তথ্য দিতে পারবেন?
উত্তর ভোলার যত ইউনিয়ন আছে তার মধ্যে বড় বাজার ইলিশার হাট ও জংশন বাজার, লক্ষ লক্ষ টাকা ইজারা হয় এর মধ্যে চেয়ারম্যান কিংবা তার কোন প্রতিনিধি ভাগ বসিয়ে এমন কোন প্রমাণ আছে? দলীয় চেয়ারম্যান অন্যদিকে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েও পরিষদের বাহিরে দলীয় বিষয় নিয়ে কি তিনি কোন ভাগ বসিয়েছে? ইলিশার নদীতে তার কোন ব্যবসা আছে? ইলিশার প্রতিটি মসজিদের ইমামদের সাথে যে কোন বিষয়ে চেয়ারম্যান হাছান মিয়া মতবিনিময় সভা করেন, পরিষদে কোন বরাদ্দ আসলে ইমামদের জন্য আলাদা একটি বরাদ্দ রাখেন, ইউনিয়নের যে কোন সামাজিক কর্মকাণ্ডে ইমামদের প্রতিনিধি রাখেন, এটা কি অতীতে ছিলো? সরকারী এবং বেসরকারি সকল কার্যক্রম জাঁকজমক ভাবে পরিষদে করে থাকেন এটা কি অতীতে ছিলো? পরিষদের আয় ব্যায়ের হিসাব উন্মুক্ত বাজেট জনতার মুখোমুখি কে করেছেন? হাছান মিয়া করেছেন, অতীতের জনপ্রতিনিধিরা করেছেন? এক কথায় বুকে হাত দিয়ে বলুন তো চেয়ারম্যান হাছনাইন আহমেদ হাছান মিয়ার মাধ্যমে যে দলেরই হোক ইলিশার কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কিনা? বলতে পারবেন? আসুন পিছনে শক্র পক্ষ থেকে সমালোচনা শুনে বাজে মন্তব্য না করে চেয়ারম্যান হাছনাইন আহমেদ হাছান মিয়ার সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করি, তিনি কেমন মানুষ তখন বুঝা যাবে।
আপনার মত ভুল আমার ও ছিলো কিন্তু যখন সরাসরি সাক্ষাৎ হয়েছে ভুল কেটে গেছে।
মনে রাখবেন হাছনাইন মিয়া হঠাৎ বড় লোক হয়নি তার বাবা দাদা স্বজন সবই ধনী ছিলেন।
বৃহত্তম ইলিশার নাদের মিয়া পরিবারের উত্তরসূরি হাছান মিয়া পরিষদের গরীবের হক আত্মসাৎ করতে আসেনি, এসেছে সেবা দিতে।